আদালতে ঘাতক বাবলুর লোমহর্ষক স্বীকারোক্তি ॥ পুলিশের প্রেস বিফিং ॥ বাহুবলে শিশু সুলতানাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ ॥ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু

আদালতে ঘাতক বাবলুর লোমহর্ষক স্বীকারোক্তি ॥ পুলিশের প্রেস বিফিং ॥ বাহুবলে শিশু সুলতানাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ ॥ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু

 
বাহুবলে উপজেলায় আলোচিত চার শিশু হত্যাকান্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নিখোঁজের তিন দিন পর শিশু সুলতানার ধান ক্ষেত থেকে লাশ উদ্ধার নিয়ে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ শিশু সুলতানার লাশ উদ্ধারের পর ঘটনার সাথে জড়িত চার ঘাতককে আটক করে ডিবি পুলিশ। আটককৃত ঘাতক বাবলু গতকাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালতে হত্যাকান্ডের এক লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। যা নিয়ে বাহুবলসহ জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। সর্বত্র চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।
ঘাতক বাবলু উপজেলার হামিদনগর গ্রামের আছকির মিয়ার পুত্র। গতকাল রবিবার বিকেলে ডিবি পুলিশের এসআই সুদ্বিপ রায় ও আব্দুল করিমসহ একদল পুলিশ কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কাওছার আহমেদের আদালতে হাজির করলে এ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট দুপুরে দোকানে যাওয়ার কথা বলে উত্তরসুর গ্রামের আফজল মিয়ার কন্যা স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী সুলতানা আক্তার (৯) বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় বাবুল, অলি মিয়া, মুগকান্দির সিজিল মিয়া, হামিদনগরের সিজিল, মুখলেছ, শামীম তাকে গামছা দিয়ে মুখ বেধেঁ তুলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ওইদিন রাতে বাবুলের বাড়িতে সকলে মিলে শিশু সুলতানাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে সুলতানা মারা যায়। দুইদিন বাবুলের বাড়িতেই লাশটি লুকিয়ে রাখা হয়। পরে লাশ পচেঁ গন্ধ ছড়ালে ১৯ আগস্ট ধানক্ষেতে ফেলে দেয়ার সময় বাবুলের ভাবি দেখে ফেলে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সুলতানার স্বজনরা থানায় গিয়ে লাশটি সনাক্ত করেন। ঘাতক বাবুল তার স্বীকারোক্তিতে আরো জানায়, গত ইউপি নির্বাচনে বাবুলের ভাই এলাছ মিয়া ও সুলতানার চাচা মেম্বার পদে নির্বাচন করে। এতে দুইজনই পরাজিত হয়। আর এলাছ মিয়ার পরাজয়ের পেছনে সুলতানার চাচা ও পিতার হাত রয়েছে এমন ধারণায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং ওই ঘটনা ঘটায়। এদিকে, নারকীয় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা নিয়ে রবিবার রাতে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং করা হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপরোক্ত কথা গুলো ঘাতক বাবলু আদালতে স্বীকার বলে বলে জানান এডিশনাল এসপি সামছুল আলম ভুইয়া। প্রেস ব্রিফিংয়ে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পুলিশ সুপার সাজিদুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান রাসেল, সহকারী পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার (মিডিয়া) সুদীপ্ত রায় প্রমুখ।

0 comments:

Copyright © 2013 Prothom News