যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দায়
ইয়েমেনের বিবদমান গোষ্ঠীগুলো এক রক্তাক্ত অচলাবস্থার মধ্যে পড়েছে: শিয়া
নেতৃত্বাধীন হুতি বিদ্রোহীরা সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহর অনুগত
সেনাদের নিয়ে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে অভ্যুত্থান করার পর থেকে ইয়েমেনের
রাজধানী সানা নিয়ন্ত্রণ করছে, অন্যদিকে সৌদি মদদপুষ্ট হুতি বিরোধী
গোষ্ঠীগুলো দেশের বিভিন্ন অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে, যাদের নেতৃত্বে রয়েছে
নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আবু রাব্বু মনসুর হাদি। সৌদি আরব হুতি নিয়ন্ত্রিত
এলাকায় বোমা মেরে এদের সহযোগিতা করছে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আরব আমিরাত ও সৌদির আরবের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, তা খুব সম্ভবত মানুষকে দেখানো ছাড়া কিছু নয়, যুদ্ধ শেষ করার আন্তরিকতা তাদের মধ্যে ছিল না। ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস উত্তর ইয়েমেনের হাসপাতাল থেকে তাদের কর্মীদের প্রত্যাহার করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা সেটা আমলে নিয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। সৌদি আরব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, চিকিৎসাসেবা-সংক্রান্ত স্থাপনায় বিমান হামলা চালাবে না। কিন্তু তারা সে কথা রাখেনি। আর তাই ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস কর্মীদের প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর কোনো নিরপেক্ষ শক্তি সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনার কাঠামো তৈরি করবে না, যে চারটি দেশ সেখানে সবচেয়ে বেশি হারে যুক্ত, তারাই সেটা করবে, যাদের সঙ্গে থাকবে ইয়েমেনে কর্মরত জাতিসংঘের শীর্ষ কূটনীতিকেরা।
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের ফলাফল ভিন্ন হতে পারত। সৌদি নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় শর্তহীন সমর্থন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যে নৈতিক কর্তৃত্ব হারিয়েছিল, সেটা তারা পুনরুদ্ধার করতে পারত। এর বিকল্প হচ্ছে আরও রক্তপাত। এটা না হওয়ায় নিরাপত্তা পরিষদের দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের ওপর মানুষের আস্থা আরও কমে যাবে।
বেশ কদিন আগে ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি হাসপাতালে সৌদি আরব বিমান হামলা চালালে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস সেখান থেকে কর্মীদের প্রত্যাহার করে নেয়, যেখানে তাদের কর্মীরা কাজ করছিল। তারা সেখানে বহু মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে চারবার তাদের স্থাপনার ওপর হামলা হলো। আর এই জোট যুদ্ধক্ষেত্র থেকে শত শত কিলোমিটার দূরের হাসপাতাল ও স্কুলে হামলা চালিয়েছে। ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের জেনারেল ডিরেক্টর জোয়ান তুবাউ হামলার পর লিখেছিলেন, ‘সর্বশেষ ঘটনায় দেখা গেল, অংশগ্রহণের বর্তমান বিধান, সামরিক প্রটোকল ও প্রক্রিয়া হাসপাতালের ওপর হামলা এড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। এতে পরিবর্তন ও সংশোধন আনতে হবে।
জাতিসংঘ মনে করে, সৌদি হামলায় ইয়েমেনের আট হাজারেরও বেশি বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এ বছর জুনে জাতিসংঘ সৌদি আরবকে সেই সব দেশের তালিকায় যুক্ত করে, যারা যুদ্ধে শিশুদের অধিকার লঙ্ঘন করে। কারণ, তাদের বিমান হামলায় বিপুলসংখ্যক শিশু প্রাণ হারিয়েছে। যদিও পরবর্তীকালে সাময়িকভাবে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সৌদি আরবের কাছে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে, যেগুলো ইয়েমেনে ব্যবহার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে বিমান হামলার পরিকল্পনায় সাহায্য করে। তারা রয়্যাল সৌদি এয়ার ফোর্সকে বিমান নিয়ন্ত্রণ ও আকাশপথে তেল সরবরাহ করে। একই সঙ্গে লন্ডন ও ওয়াশিংটন সৌদি আরবকে নিজ দেশ ও জাতিসংঘে রাজনৈতিক সুরক্ষাও দিয়ে থাকে।
কিন্তু সৌদি আরব এযাবৎকাল যা করেছে তাতে স্পষ্ট, তারা বেসামরিক মানুষের জীবন বাঁচাতে এসব দামি অস্ত্র ব্যবহারে দক্ষ ও যত্নবান হবে না, ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় বোমা বর্ষণের ক্ষেত্রে যা করা উচিত। কূটনৈতিক মহলে এর অর্থ দাঁড়িয়েছে এমন: পাশ্চাত্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যে যুদ্ধ আইন করেছিল, সেটা তারা মানতে চায় না।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, হুতি ও সালেহ নিশ্চিতভাবেই যুদ্ধাপরাধ করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি, ইয়েমেনের অভ্যুত্থানবিরোধী ও সম্ভবত পশ্চিমা কর্মকর্তারা মনে করেন, সৌদি আরবের বাড়াবাড়ি নিয়ে এত কথা বলার কী আছে। কিন্তু এই মনোভাবের একটা নৈতিক ঝুঁকি রয়েছে: বেয়াড়া রাষ্ট্র ও হুতিদের মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে কেন নিজেদের কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে, যখন জাতিসংঘের সবচেয়ে প্রভাবশালী দুটি সদস্যদেশকে জবাবদিহি করতে হয় না।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সৌদি আরবকে অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি দেওয়া বন্ধ করবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। যদিও অনেক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও দাতা প্রতিষ্ঠান তাদের সেটা করতে আহ্বান জানাচ্ছে। এদের অন্তত সৌদি আরবকে প্রকাশ্যে এ আহ্বান জানানো উচিত যে তাদের বিমান হামলা যেন ফ্রন্টলাইনেই সীমাবদ্ধ থাকে। অনেক পশ্চিমা কর্মকর্তাই ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, সৌদিরা চলমান লক্ষ্যবস্তু ও গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আঘাত করার ক্ষেত্রে ‘খুব দক্ষ নয়’। ফলে তারা যুদ্ধের ‘তপ্ত’ ক্ষেত্র ছাড়া অন্য যেকোনো জায়গায় হামলা চালাতে পারে।
শুরুর দিকে সৌদি আরবের বিমান হামলায় ইয়েমেনের অধিকাংশ দূরপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু ১৫ মাস ধরে ফ্রন্টলাইনের বাইরে বিমান হামলা চালিয়ে যুদ্ধের গতি-প্রকৃতির ওপর তেমন প্রভাব ফেলা সম্ভব হয়নি। এতে বরং বিপুলসংখ্যক ইয়েমেনি সৌদি আরব, আরব আমিরাত এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যবিরোধী হয়ে গেছে।
ওয়াশিংটন ও লন্ডন যদি শান্তি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আন্তরিক হয় ও উন্নত নৈতিক অবস্থান বজায় রাখতে চায়, তাহলে তারা হয়তো সৌদি আরবের রাশ টেনে ধরার ব্যাপারে নতুন করে চিন্তা করতে চাইবে।
অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন, সিএনএন থেকে নেওয়া।
পিটার স্যালিসব্যারি: চ্যাটহ্যাম হাউসের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা প্রোগ্রামের অ্যাসোসিয়েট ফেলো।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আরব আমিরাত ও সৌদির আরবের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, তা খুব সম্ভবত মানুষকে দেখানো ছাড়া কিছু নয়, যুদ্ধ শেষ করার আন্তরিকতা তাদের মধ্যে ছিল না। ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস উত্তর ইয়েমেনের হাসপাতাল থেকে তাদের কর্মীদের প্রত্যাহার করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা সেটা আমলে নিয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। সৌদি আরব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, চিকিৎসাসেবা-সংক্রান্ত স্থাপনায় বিমান হামলা চালাবে না। কিন্তু তারা সে কথা রাখেনি। আর তাই ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস কর্মীদের প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর কোনো নিরপেক্ষ শক্তি সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনার কাঠামো তৈরি করবে না, যে চারটি দেশ সেখানে সবচেয়ে বেশি হারে যুক্ত, তারাই সেটা করবে, যাদের সঙ্গে থাকবে ইয়েমেনে কর্মরত জাতিসংঘের শীর্ষ কূটনীতিকেরা।
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের ফলাফল ভিন্ন হতে পারত। সৌদি নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় শর্তহীন সমর্থন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যে নৈতিক কর্তৃত্ব হারিয়েছিল, সেটা তারা পুনরুদ্ধার করতে পারত। এর বিকল্প হচ্ছে আরও রক্তপাত। এটা না হওয়ায় নিরাপত্তা পরিষদের দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের ওপর মানুষের আস্থা আরও কমে যাবে।
বেশ কদিন আগে ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি হাসপাতালে সৌদি আরব বিমান হামলা চালালে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস সেখান থেকে কর্মীদের প্রত্যাহার করে নেয়, যেখানে তাদের কর্মীরা কাজ করছিল। তারা সেখানে বহু মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে চারবার তাদের স্থাপনার ওপর হামলা হলো। আর এই জোট যুদ্ধক্ষেত্র থেকে শত শত কিলোমিটার দূরের হাসপাতাল ও স্কুলে হামলা চালিয়েছে। ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের জেনারেল ডিরেক্টর জোয়ান তুবাউ হামলার পর লিখেছিলেন, ‘সর্বশেষ ঘটনায় দেখা গেল, অংশগ্রহণের বর্তমান বিধান, সামরিক প্রটোকল ও প্রক্রিয়া হাসপাতালের ওপর হামলা এড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। এতে পরিবর্তন ও সংশোধন আনতে হবে।
জাতিসংঘ মনে করে, সৌদি হামলায় ইয়েমেনের আট হাজারেরও বেশি বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এ বছর জুনে জাতিসংঘ সৌদি আরবকে সেই সব দেশের তালিকায় যুক্ত করে, যারা যুদ্ধে শিশুদের অধিকার লঙ্ঘন করে। কারণ, তাদের বিমান হামলায় বিপুলসংখ্যক শিশু প্রাণ হারিয়েছে। যদিও পরবর্তীকালে সাময়িকভাবে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সৌদি আরবের কাছে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে, যেগুলো ইয়েমেনে ব্যবহার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে বিমান হামলার পরিকল্পনায় সাহায্য করে। তারা রয়্যাল সৌদি এয়ার ফোর্সকে বিমান নিয়ন্ত্রণ ও আকাশপথে তেল সরবরাহ করে। একই সঙ্গে লন্ডন ও ওয়াশিংটন সৌদি আরবকে নিজ দেশ ও জাতিসংঘে রাজনৈতিক সুরক্ষাও দিয়ে থাকে।
কিন্তু সৌদি আরব এযাবৎকাল যা করেছে তাতে স্পষ্ট, তারা বেসামরিক মানুষের জীবন বাঁচাতে এসব দামি অস্ত্র ব্যবহারে দক্ষ ও যত্নবান হবে না, ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় বোমা বর্ষণের ক্ষেত্রে যা করা উচিত। কূটনৈতিক মহলে এর অর্থ দাঁড়িয়েছে এমন: পাশ্চাত্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যে যুদ্ধ আইন করেছিল, সেটা তারা মানতে চায় না।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, হুতি ও সালেহ নিশ্চিতভাবেই যুদ্ধাপরাধ করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি, ইয়েমেনের অভ্যুত্থানবিরোধী ও সম্ভবত পশ্চিমা কর্মকর্তারা মনে করেন, সৌদি আরবের বাড়াবাড়ি নিয়ে এত কথা বলার কী আছে। কিন্তু এই মনোভাবের একটা নৈতিক ঝুঁকি রয়েছে: বেয়াড়া রাষ্ট্র ও হুতিদের মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে কেন নিজেদের কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে, যখন জাতিসংঘের সবচেয়ে প্রভাবশালী দুটি সদস্যদেশকে জবাবদিহি করতে হয় না।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সৌদি আরবকে অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি দেওয়া বন্ধ করবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। যদিও অনেক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও দাতা প্রতিষ্ঠান তাদের সেটা করতে আহ্বান জানাচ্ছে। এদের অন্তত সৌদি আরবকে প্রকাশ্যে এ আহ্বান জানানো উচিত যে তাদের বিমান হামলা যেন ফ্রন্টলাইনেই সীমাবদ্ধ থাকে। অনেক পশ্চিমা কর্মকর্তাই ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, সৌদিরা চলমান লক্ষ্যবস্তু ও গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আঘাত করার ক্ষেত্রে ‘খুব দক্ষ নয়’। ফলে তারা যুদ্ধের ‘তপ্ত’ ক্ষেত্র ছাড়া অন্য যেকোনো জায়গায় হামলা চালাতে পারে।
শুরুর দিকে সৌদি আরবের বিমান হামলায় ইয়েমেনের অধিকাংশ দূরপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু ১৫ মাস ধরে ফ্রন্টলাইনের বাইরে বিমান হামলা চালিয়ে যুদ্ধের গতি-প্রকৃতির ওপর তেমন প্রভাব ফেলা সম্ভব হয়নি। এতে বরং বিপুলসংখ্যক ইয়েমেনি সৌদি আরব, আরব আমিরাত এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যবিরোধী হয়ে গেছে।
ওয়াশিংটন ও লন্ডন যদি শান্তি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আন্তরিক হয় ও উন্নত নৈতিক অবস্থান বজায় রাখতে চায়, তাহলে তারা হয়তো সৌদি আরবের রাশ টেনে ধরার ব্যাপারে নতুন করে চিন্তা করতে চাইবে।
অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন, সিএনএন থেকে নেওয়া।
পিটার স্যালিসব্যারি: চ্যাটহ্যাম হাউসের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা প্রোগ্রামের অ্যাসোসিয়েট ফেলো।


0 comments: