বিশ্বায়নের কাল সন্ত্রাসবাদ, বুরকিনি ও স্কার্ট
সন্ত্রাসবাদ থেকে উদ্ভূত নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে রাজনীতিক ও
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা যখন হিমশিম খাচ্ছেন, তখন তার মধ্যেই শুরু হয়েছে নতুন
এক সাংস্কৃতিক বিতর্ক। সাংস্কৃতিক হলেও এ বিতর্কের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক
নারী-পুরুষের সম-অধিকারবিষয়ক। বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে নারীর পোশাক বেছে
নেওয়ার স্বাধীনতার প্রশ্ন। এবারও বিতর্কের উৎস কথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র
ফ্রান্স। ২০১১ সালের এপ্রিলে ইউরোপে ফ্রান্সই প্রথম আইন করে বোরকা
নিষিদ্ধ করেছিল। আর এবার জুলাইয়ের গোড়ায় ফরাসি উপকূলীয় শহর নিসে বাস্তিল
দিবসের আতশবাজির অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার
করার লক্ষ্যে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার মধ্যে একটি হচ্ছে মুসলমান নারীদের
সাঁতারের বিশেষ পোশাক বুরকিনি এবং শরীর ঢেকে রাখা অন্যান্য পোশাকের ওপর
নিষেধাজ্ঞা।
প্রথমে নিষেধাজ্ঞাটি দেওয়া হয়েছিল বিনোদনজগতের তারকাদের তীর্থকেন্দ্র কানে এবং ধীরে ধীরে তা অন্যান্য শহরেও অনুসৃত হতে থাকে। ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় ২৬ আগস্ট প্রকাশিত এক মানচিত্র অনুযায়ী ফ্রান্সের ২৪টি শহরের নগর কর্তৃপক্ষ সমুদ্রসৈকতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই নিষেধাজ্ঞার মানে, সৈকতে কোনো নারীকে যেতে হলে তাঁকে সাঁতারের সংক্ষিপ্ত পোশাক বিকিনি পরেই যেতে হবে; দেহ ঢেকে রাখা অন্য কোনো পোশাকে নয়। পুলিশ এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতেও বেশ উদ্যোগী হয়ে ওঠে; গত সপ্তাহে মূলধারার সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াতে সবচেয়ে বেশি প্রচারিত হয় একটি ছবি। ছবিতে তিনজন ফরাসি পুলিশের কাছে ঢিলেঢালা পোশাকে আবৃত এক নারীর নিগৃহীত হওয়ার দৃশ্য ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। ওই সৈকতে থাকা কিছু স্থানীয় বাসিন্দার অভিবাসীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্যেরও সমালোচনা ওঠে। প্রতিক্রিয়ায় কানাডা ও স্কটল্যান্ড পুলিশের নারী সদস্যদের হিজাব পরার অনুমতি দেয়।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বিষয়টি নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয় এবং দেশটির সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালত বুরকিনি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এরপর একটি জিআইএফ কার্টুন ব্যাপক প্রচার পায়। কার্টুনের মূল বিষয়টি এ রকম যে, একদিকে এক দল চাইছে নারীর আপাদমস্তক আবৃত থাক, আর অন্য দল চাইছে নারীর দেহ যতটা সম্ভব অনাবৃত থাক। একুশ শতকে নারী জাগরণ ও মানুষে–মানুষে সম-অধিকারের যুগে নারীকে হেনস্তা করার এ কি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা!
এই বিতর্কে তাই এখন যুক্ত হয়েছে জাতিসংঘও। জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেন বলেছে, রাষ্ট্র কিংবা কোনো ব্যক্তির জবরদস্তি থেকে মুক্ত অবস্থায় যেকোনো পোশাক বেছে নেওয়ার অধিকার নারীর আছে। ২৬ আগস্ট শুক্রবার ইউএন উইমেনের নীতিবিষয়ক পরিচালক পূর্ণা সেন এ কথা বলেন। এরপর রোববার ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেরনার কাজনোভ বলেছেন যে পুরো শরীর আবৃতকারী বুরকিনি নিষিদ্ধ করা অসাংবিধানিক এবং অকার্যকর (দ্য গার্ডিয়ান, ২৮ আগস্ট, ২০১৬)। কাজনোভ ফরাসি পত্রিকা লা কোয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আইন তৈরির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, ফরাসি আইনগুলো স্পষ্টভাবেই ধর্মনিরপেক্ষ। এ ধরনের নতুন আইন করা হলে তা সমাজে বিভেদ ও রেষারেষি বাড়াবে। পোশাক পরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা জোরদার হয়—এমনটাও প্রমাণিত হয়নি। বরং পাশ্চাত্যের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন যে এসব পদক্ষেপে সমাজের ভেতরে চাপা ক্ষোভ এবং উত্তেজনা বেড়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল সিভিল সোসাইটি অ্যাকশন নেটওয়ার্কের (আইসিএএন) নির্বাহী পরিচালক সানাম নারাগি আন্দেরলিনি বলছেন, বুরকিনির ওপর নিষেধাজ্ঞা স্পষ্টতই মুসলিম নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক। কেননা, কোনো ক্যাথলিক নানের সাগরসৈকতে যাওয়ার জন্য এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে না। স্মরণ করা যেতে পারে, ক্যাথলিক ধর্ম প্রচারে নিয়োজিত নারীরাও (সিস্টার) মাথার চুল ঢেকে রাখেন এবং মুখ ছাড়া পুরো দেহ আবৃত রাখে—এমন ধরনের ঢিলেঢালা পোশাকই পরে থাকেন। পরিহাসের বিষয়, সৈকতে এ রকম নারী যাজকের ছবি নিয়েও গেল সপ্তাহে ইউরোপে আরেকটি বিপত্তি ঘটেছে। ইতালির একজন ইমাম ফেসবুকে ওই ছবি দিয়ে ফরাসি নীতিতে ইসলামভীতি বা বিদ্বেষের অভিযোগ করায় তাঁকে হয়রানির মুখে পড়তে হয়। পরদিন ঘুম থেকে উঠে দেখেন যে ফেসবুক তাঁর ওই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে।
ইউরোপে যখন নারীর বুরকিনি পরে সাঁতরানোর অধিকার নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে, তখন ভারতে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা নারী পর্যটকদের ভারতে স্কার্ট না পরার পরামর্শ দিয়েছেন (এনডিটিভি, ২৯ আগস্ট, ২০১৬)। তাঁর এই মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় ওঠায় শেষ পর্যন্ত এক ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, তিনি শুধু ধর্মীয় স্থানগুলোতে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই উপদেশটি দিয়েছেন। রাতের বেলায় মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করায় দোষের কী আছে বলেও তিনি পাল্টা প্রশ্ন রেখেছেন। ফলে মনে হয়, শুধু ধর্মীয় পবিত্র স্থানই নয়, রাতের বেলাও মেয়েদের ঘরের বাইরে স্কার্ট পরতে নিষেধ করছেন তিনি। টুইটারে এর অবশ্য এক রাজনৈতিক জবাব দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেজরিওয়াল লিখেছেন, বৈদিক যুগের নারীরা পোশাক পরার বিষয়ে মোদির কাল থেকে বেশি স্বাধীন ছিলেন।
ফ্রান্সের বুরকিনি বিতর্কের কারণে অবশ্য লাভ হয়েছে বুরকিনি প্রস্তুতকারকদের। দেশে দেশে এর বিক্রি বেড়েছে। অনেকে এটি কিনছেন পাশ্চাত্যের কোনো কোনো জনগোষ্ঠীর ইসলামবিদ্বেষী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। শিগগিরই এই বিতর্কের ইতি ঘটবে, এমনটি মনে হয় না। কোথাও কোথাও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য ও ঐতিহ্যের কথা উঠলেও শেষ বিচারে সব জায়গাতেই আছে রাজনীতি। সেটা ইসলামপন্থী উগ্রবাদ হোক কিংবা ভারতের হিন্দুত্ববাদ। ফলে নারী কোথায় কখন কী পোশাক পরবে, সেই অধিকার অবাধে এবং নির্ভয়ে ভোগ করবে—এমন প্রত্যাশা কবে পূরণ হবে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
প্রথমে নিষেধাজ্ঞাটি দেওয়া হয়েছিল বিনোদনজগতের তারকাদের তীর্থকেন্দ্র কানে এবং ধীরে ধীরে তা অন্যান্য শহরেও অনুসৃত হতে থাকে। ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় ২৬ আগস্ট প্রকাশিত এক মানচিত্র অনুযায়ী ফ্রান্সের ২৪টি শহরের নগর কর্তৃপক্ষ সমুদ্রসৈকতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই নিষেধাজ্ঞার মানে, সৈকতে কোনো নারীকে যেতে হলে তাঁকে সাঁতারের সংক্ষিপ্ত পোশাক বিকিনি পরেই যেতে হবে; দেহ ঢেকে রাখা অন্য কোনো পোশাকে নয়। পুলিশ এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতেও বেশ উদ্যোগী হয়ে ওঠে; গত সপ্তাহে মূলধারার সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াতে সবচেয়ে বেশি প্রচারিত হয় একটি ছবি। ছবিতে তিনজন ফরাসি পুলিশের কাছে ঢিলেঢালা পোশাকে আবৃত এক নারীর নিগৃহীত হওয়ার দৃশ্য ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। ওই সৈকতে থাকা কিছু স্থানীয় বাসিন্দার অভিবাসীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্যেরও সমালোচনা ওঠে। প্রতিক্রিয়ায় কানাডা ও স্কটল্যান্ড পুলিশের নারী সদস্যদের হিজাব পরার অনুমতি দেয়।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বিষয়টি নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয় এবং দেশটির সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালত বুরকিনি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এরপর একটি জিআইএফ কার্টুন ব্যাপক প্রচার পায়। কার্টুনের মূল বিষয়টি এ রকম যে, একদিকে এক দল চাইছে নারীর আপাদমস্তক আবৃত থাক, আর অন্য দল চাইছে নারীর দেহ যতটা সম্ভব অনাবৃত থাক। একুশ শতকে নারী জাগরণ ও মানুষে–মানুষে সম-অধিকারের যুগে নারীকে হেনস্তা করার এ কি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা!
এই বিতর্কে তাই এখন যুক্ত হয়েছে জাতিসংঘও। জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেন বলেছে, রাষ্ট্র কিংবা কোনো ব্যক্তির জবরদস্তি থেকে মুক্ত অবস্থায় যেকোনো পোশাক বেছে নেওয়ার অধিকার নারীর আছে। ২৬ আগস্ট শুক্রবার ইউএন উইমেনের নীতিবিষয়ক পরিচালক পূর্ণা সেন এ কথা বলেন। এরপর রোববার ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেরনার কাজনোভ বলেছেন যে পুরো শরীর আবৃতকারী বুরকিনি নিষিদ্ধ করা অসাংবিধানিক এবং অকার্যকর (দ্য গার্ডিয়ান, ২৮ আগস্ট, ২০১৬)। কাজনোভ ফরাসি পত্রিকা লা কোয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আইন তৈরির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, ফরাসি আইনগুলো স্পষ্টভাবেই ধর্মনিরপেক্ষ। এ ধরনের নতুন আইন করা হলে তা সমাজে বিভেদ ও রেষারেষি বাড়াবে। পোশাক পরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা জোরদার হয়—এমনটাও প্রমাণিত হয়নি। বরং পাশ্চাত্যের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন যে এসব পদক্ষেপে সমাজের ভেতরে চাপা ক্ষোভ এবং উত্তেজনা বেড়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল সিভিল সোসাইটি অ্যাকশন নেটওয়ার্কের (আইসিএএন) নির্বাহী পরিচালক সানাম নারাগি আন্দেরলিনি বলছেন, বুরকিনির ওপর নিষেধাজ্ঞা স্পষ্টতই মুসলিম নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক। কেননা, কোনো ক্যাথলিক নানের সাগরসৈকতে যাওয়ার জন্য এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে না। স্মরণ করা যেতে পারে, ক্যাথলিক ধর্ম প্রচারে নিয়োজিত নারীরাও (সিস্টার) মাথার চুল ঢেকে রাখেন এবং মুখ ছাড়া পুরো দেহ আবৃত রাখে—এমন ধরনের ঢিলেঢালা পোশাকই পরে থাকেন। পরিহাসের বিষয়, সৈকতে এ রকম নারী যাজকের ছবি নিয়েও গেল সপ্তাহে ইউরোপে আরেকটি বিপত্তি ঘটেছে। ইতালির একজন ইমাম ফেসবুকে ওই ছবি দিয়ে ফরাসি নীতিতে ইসলামভীতি বা বিদ্বেষের অভিযোগ করায় তাঁকে হয়রানির মুখে পড়তে হয়। পরদিন ঘুম থেকে উঠে দেখেন যে ফেসবুক তাঁর ওই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে।
ইউরোপে যখন নারীর বুরকিনি পরে সাঁতরানোর অধিকার নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে, তখন ভারতে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা নারী পর্যটকদের ভারতে স্কার্ট না পরার পরামর্শ দিয়েছেন (এনডিটিভি, ২৯ আগস্ট, ২০১৬)। তাঁর এই মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় ওঠায় শেষ পর্যন্ত এক ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, তিনি শুধু ধর্মীয় স্থানগুলোতে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই উপদেশটি দিয়েছেন। রাতের বেলায় মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করায় দোষের কী আছে বলেও তিনি পাল্টা প্রশ্ন রেখেছেন। ফলে মনে হয়, শুধু ধর্মীয় পবিত্র স্থানই নয়, রাতের বেলাও মেয়েদের ঘরের বাইরে স্কার্ট পরতে নিষেধ করছেন তিনি। টুইটারে এর অবশ্য এক রাজনৈতিক জবাব দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেজরিওয়াল লিখেছেন, বৈদিক যুগের নারীরা পোশাক পরার বিষয়ে মোদির কাল থেকে বেশি স্বাধীন ছিলেন।
ফ্রান্সের বুরকিনি বিতর্কের কারণে অবশ্য লাভ হয়েছে বুরকিনি প্রস্তুতকারকদের। দেশে দেশে এর বিক্রি বেড়েছে। অনেকে এটি কিনছেন পাশ্চাত্যের কোনো কোনো জনগোষ্ঠীর ইসলামবিদ্বেষী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। শিগগিরই এই বিতর্কের ইতি ঘটবে, এমনটি মনে হয় না। কোথাও কোথাও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য ও ঐতিহ্যের কথা উঠলেও শেষ বিচারে সব জায়গাতেই আছে রাজনীতি। সেটা ইসলামপন্থী উগ্রবাদ হোক কিংবা ভারতের হিন্দুত্ববাদ। ফলে নারী কোথায় কখন কী পোশাক পরবে, সেই অধিকার অবাধে এবং নির্ভয়ে ভোগ করবে—এমন প্রত্যাশা কবে পূরণ হবে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।


0 comments: